রেফ্রিজারেটর না থাকলে…



গ্রীষ্মকালীন এবং উষ্ণ আর্দ্র স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় কাঁচা শাকসবজি, মাছ-মাংস টাটকা রাখতে হলে নিতে হবে সঠিক পদ্ধতি। বলছিলেন রন্ধনশিল্পী সিতারা ফেরদৌস। তাঁর পরামর্শ—

পাকা মিষ্টিকুমড়া, পাকা চালকুমড়া, পাকা শসা—এসব অক্ষত অবস্থায় বাইরে রেখে দিলে অনেক দিন ভালো থাকে।
কাঁচকলা, পটল, ঝিঙা, পেঁপে—এসব রান্নাঘরের তাকের নিচে একটা ঝুড়িতে সাজিয়ে ঠান্ডা স্থানে ছড়িয়ে রেখে দিলে দিন চারেক ভালো থাকে। খেয়াল রাখতে হবে, একটার গায়ে যেন অন্যটা লেগে না যায়।
শজনে ডাঁটা ভেজা কাপড়ে পেঁচিয়ে ১৫-১৬ দিন বা তারও বেশি সময় রাখা যেতে পারে, তবে প্রতিদিনই কাপড়টা তুলে দেখতে হবে এবং পুনরায় ভিজিয়ে রাখতে হবে।
কাঁচা মরিচ, ধনেপাতা বোঁটা ফেলে কাগজের ঠোঙায় পেঁচিয়ে রাখলে পাঁচ-ছয় দিন ভালো থাকে।
আদা, আলু ঠান্ডা স্থানে বালির ভেতর রেখে দিলে অনেক দিন ভালো থাকে।
সবজি, ফল যেকোনো জিনিস রেফ্রিজারেটরে রাখতে হলে ছিদ্র করা পলি প্যাকে রাখলে ভালো থকবে।
মানকচু, ওলকচু, কলার থোড়—এসব প্রাকৃতিকভাবেই ভালো থাকে অনেক দিন।
কই মাছ, শিং মাছ, মাগুর, শোল, টাকি—এসব মাছ পানিতে জিইয়ে রেখে অনেক দিন খাওয়া যায়। তবে মাঝেমধ্যে পানি পরিবর্তন করতে হবে এবং মাছ তাজা আছে কি না, তা লক্ষ রাখতে হবে।
ইলিশ মাছ মাটির পাত্রে লবণ মাখিয়ে লোনা করে রেখে দেওয়া যায়। আবার আঁশটা না ছাড়িয়ে প্যাকেট করে আস্ত ইলিশ ডিপ ফ্রিজে রাখলে ভালো থাকে।
ছোট মাছ ডিপ ফ্রিজে পলিপ্যাক অথবা কন্টেইনারে পানিসহ রেখে দিলে টাটকা মাছের স্বাদ পাওয়া যাবে।